অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাঁচ ইউনিটের মধ্যে চারটিই বন্ধ। সস্তায় বিদ্যুৎ পাওয়ার এই উৎসটি পুরোপুরি বন্ধের উপক্রম হয়েছে। হ্রদের পানির স্তর নির্দিষ্ট উচ্চতার চেয়ে নিচে নেমে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতি বলছেন কর্মকর্তারা।
সস্তায় বিদ্যুৎ পাওয়ার অন্যতম অভ্যন্তরীণ উৎস কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প। কিন্তু হ্রদের পানি আশঙ্কাজনকভাবে কমে যাওয়ায় হুমকির মুখে ২৩০ মেগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতার এই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি।
শুষ্ক মৌসুম এলেই হ্রদে পানির স্তর নেমে যাচ্ছে। নির্দিষ্ট স্তরের চেয়ে পানি উচ্চতা কমেছে প্রায় ১৫ ফুট। এতে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির মোট পাঁচটি ইউনিটের মধ্যে চারটি বন্ধ হয়ে গেছে। চালু আছে একটি ইউনিট।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চালু থাকা দুই নম্বর ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৪০ মেগাওয়াট। তবে সবগুলো ইউনিট চালু করা সম্ভব হলে ২০০ মেগাওয়াটের বেশি বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হতে পারে।
কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র ব্যবস্থাপক এটিএম আব্দুজ্জাহের বলেন, “একটি মেশিন চলে। উৎপাদন হয় ৩০ মেগাওয়াট। পানি কমে যাওয়ার কারণে এই অবস্থা।”
বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক জানান, এই সময়ে হ্রদে পানির উচ্চতা ৯৬ দশমিক ৩০ এমএসএল থাকার কথা থাকলেও রুলকার্ভ অনুযায়ী বর্তমানে উচ্চতা আছে ৮২ দশমিক ৮৬ এমএসএল।
এটিএম আব্দুজ্জাহের বলেন, “এখন আছে ৮২ ফুট থাকার কথা ৯৬ ফুট।”
বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে ১৯৬২ সালে নির্মাণ করা হয় কাপ্তাই বাঁধ। এতে ৭২৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে সৃষ্টি হয় বিশাল জলাধার।
Leave a Reply